তালসরা দরবারের টাকা লুটের মামলা বিচার শুরুর আদেশ
প্রকাশ:| রবিবার, ১৬ অক্টোবর , ২০১৬ সময় ১১:৪৪ অপরাহ্ণ

দেশজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টিকারী তালসরা দরবারের টাকা লুটের মামলাটি বিচার শুরুর জন্য প্রস্তুত করে বিচারিক আদালত চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজের আছে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন বিচারিক হাকিম আদালত।
রোববার (১৬ অক্টোবর) চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আ স ম শহীদুল্লাহ কায়সার এ আদেশ দিয়েছেন।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের পরিদর্শক (প্রসিকিউশন) এইচ এম মশিউর রহমান জানান, মামলাটি বাতিলের আবেদন খারিজ করে দেয়া হাইকোর্টের আদেশ রোববার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে। শুনানি শেষে আদালত মামলার নথি অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর জন্য চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজের কাছে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
চাঞ্চল্যকর এই মামলার অভিযোগপত্র দাখিলের পর আসামি ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট (চাকুরিচ্যুত) শেখ মাহমুদুল হাসানের বাতিলের আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের আদেশে ২০১২ সালের ২৮ নভেম্বর থেকে এর কার্যক্রম স্থগিত ছিল। চলতি বছরের ১৭ আগস্ট বাতিলের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন বিচারপতি এম মোয়াজ্জেম হোসেন ও বিচারপতি মো.বদরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ।
২০১১ সালে ৪ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে সাতটায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার তালসরা দরবার শরীফে অভিযান চালায় তৎকালীন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জুলফিকার আলীর নেতৃত্বে র্যাব-৭ এর একটি বিশেষ টিম। এসময় দরবার থেকে দুই কোটি সাত হাজার টাকা লুটের অভিযোগ উঠে।
ঘটনার প্রায় সাত মাস পর ২০১২ সালের ১৩ মার্চ দরবারের গাড়িচালক মো.ইদ্রিস বাদি হয়ে ১২ জনের বিরুদ্ধে আনোয়ারা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ২০১২ সালের ১৫ জুলাই সাতজন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন আনোয়ারা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুস সামাদ।
অভিযোগপত্রে যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হল, র্যাব-৭ এর সাবেক অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল (চাকরিচ্যুত) জুলফিকার আলী, উপ-অধিনায়ক ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট (চাকরিচ্যুত) শেখ মাহামুদুল হাসান মজুমদার, সুবেদার মোহাম্মদ আবুল বশর, এস আই তরুন কুমার বসু, সোর্স মো. দিদারুল আলম, মো. আনোয়ার ও মানত বড়ুয়া। অভিযোগপত্রে ৪২ জনকে সাক্ষী করা হয়েছিল।
২০১২ সালের ৩০ জুলাই অভিযোগপত্রটি আদালতে নথিভুক্ত হয় এবং ২৮ আগস্ট গ্রহণযোগ্যতার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
এরপর থেকে হাইকোর্টের আদেশে মামলাটির কার্যক্রম বন্ধ ছিল।