পিডিবির বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ বাকলিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ কাওছার মাছুম বুধবার বাকলিয়া থানায় ১৮ নম্বর পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ড কাউন্সিলর হারুণ উর রশীদের বিরুদ্ধে অভিযোগটি দায়ের করেন।
তবে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কাউন্সিলর হারুণ।
অভিযোগকারী কাওছার মাছুম বলেন, গত ১৯ সেপ্টেম্বর বাকলিয়ার ওয়াজের পাড়া এলাকায় জাহাঙ্গীর আলম নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে মিটার রিডিং নিতে গেলে তিনি রিডার মুশারফ হোসেনকে মারধর করেন।
এ বিষয়ে থানায় একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন, “বিদ্যুৎ বিভাগের বিধি অনুযায়ী এ ধরনের ঘটনা ঘটলে প্রথমে গ্রাহকের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে হয়।
“সে অনুযায়ী দুপুরে বাকলিয়া থানা পুলিশের সহায়তায় জাহাঙ্গীর আলমের বাসায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে পিডিবি কর্মীরা ফিরে আসার সময় জাহাঙ্গীরের ভাই আব্দুল নবী কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে গাড়ি আটকে বিচ্ছিন্ন করা তার ছিনিয়ে নেন।”
প্রকৌশলী কাওছার বলেন, “দুপুরে ১৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হারুণ উর রশীদ আমাকে ফোন করে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন না করতে বললে, আমি তাকে সমস্যা সমাধান করে পুন: সংযোগ দেওয়ার কথা জানাই।
তিনি জানান, আব্দুল নবী লোকজন নিয়ে পিডিবির গাড়ি আটকালে ওই সময়ই তিনি কাউন্সিলরকে ফোন করেন।
“কাউন্সিলর ওই সময় মামলা করে কী করতে পারেন তা তিনি দেখবেন বলে ধমকের সুরে কথা বলেন।”
নিরাপত্তার কারণেই থানায় অভিযোগটি করেছেন বলে জানান কাওছার।
বাকলিয়া থানার ওসি প্রণব চৌধুরী কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, “বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। পরে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
তবে মিটার রিডারকে মারধরের বিষয়ে করা অভিযোগটি বুধবার মামলা হিসেবে অন্তর্ভূক্ত হয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে পিডিবির প্রকৌশলীকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে ওয়ার্ড কাউন্সিলর হারুণ উর রশীদ বলেন, “ওইদিন পিডিবির লোকজন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে গেলে আমি নির্বাহী প্রকৌশলীকে সংযোগ বিচ্ছিন্ন না করতে অনুরোধ করেছিলাম। তিনি বিষয়টি সমাধান করে পুন:সংযোগ দেওয়ার কথা বললে আমি ফোন রেখে দিই।
“এর কিছু সময় পর নির্বাহী প্রকৌশলী আমাকে ফোন করে জানান এলাকার লোকজন তাদের সাথে ঝামেলা করছে এবং এজন্য তিনি মামলা করবেন। তখন আমি তাকে মামলা করতে বলে ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিলাম।”