এলাকার মানচিত্র হালদার ভাঙ্গনে পরিবর্তন
প্রকাশ:| মঙ্গলবার, ১২ জানুয়ারি , ২০১৬ সময় ১১:১৮ অপরাহ্ণ

হাটহাজারীর পূর্ব গড়দুয়ারা এলাকার মানচিত্র হালদার ভাঙ্গনে পরিবর্তন হতে চলেছে। এতে করে এ এলাকার অসহায় দুঃস্থ পরিবার গুলোর মাথা গোজার একমাত্র ঠাঁই বসত ভিটা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ায় চরম আতংকের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। এলাকাবাসী ভাঙ্গন রোধে নদী শাসনের দাবি জানিয়েছেন। এলাকার অধিবাসীদের সাথে আলাপ করে জানা যায়,উপজেলার আওতাধীন গড়দুয়ারা ৯ নং ইউনিয়নটি একটি সমৃদ্ধ এলাকা। এশিয়ার একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্রে হালদা নদী সংলগ্ন এ ইউনিয়নটি নদীর কারণে সর্বমহলে একটি ঐতিহ্য মন্ডিত ইউনিয়ন। ইউনিয়নের পূর্ব গড়দুয়ারা ৭ নং ওয়ার্ডটি এক সময় এ ইউনিয়নের সাথে লাগোয়া ছিল। কিন্তু হালদা নদীর বাঁক কেটে সোজা করতে গিয়ে ওয়ার্ডটি একটি দ্বীপে পরিণত হয়ে গেছে। ফলে ওয়ার্ডটি ইউনিয়ন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। নদীর ভাঙ্গন রোধ করতে গিয়ে বাঁক কেটে দেওয়ায় এ ওয়ার্ডের জন সাধারণ বিচ্ছিন্ন জনপদের বাসিন্দা হয়ে পড়েছে। এতে করে এ ওয়ার্ডটি শিক্ষা সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যে অনেক পিছিয়ে পড়ে গেছে। শিক্ষায় পিছিয়ে পড়া জন সাধারণের সমত্মানদের লেখাপড়ার জন্য এলাকার শিক্ষানুরাগী মো:সেকান্দর পূর্ব গড়দুয়ার প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। পরে জনস্বার্থে সরকার বিদ্যালয়টি সরকারি করণ করেন। বিদ্যালয় সংলগ্ন স্থানে এলাকাবাসী ধর্মীয় শিক্ষার জন্য একটি মাদ্রাসা ও প্রতিষ্ঠা করেন। ইউনিয়ন থেকে জনপদটি দ্বীপাঞ্চলের বিচ্ছিন্ন জনপদ হওয়ায় কোন জন প্রতিনিধি,সরকারি কর্মকর্তা এ এলাকার মানুষের জন্য চোখে পড়ার মত কিছু করেনি বলে এলাকাবাসী সাংবাদিকদের জানান। এলাকারবাসীর অর্থায়নে পুরাতন হালদা নদীতে ১৮/২০ বছর আগে একটি সেতু নির্মাণ করেন। এ ওয়ার্ডের মিন্নাত আলী সারাং এর বাড়ি এলাকায় হালদা নদীর ভয়াবহ ভাঙ্গনের কবলে পড়ে বিলীন হয়ে গেছে। গত বছর দুয়েক আগে এলাকার ভাঙ্গন রোধের জন্য সিমেন্ট মিশ্রিত বালুর বসত্মা দেওয়া হলেও ভাঙ্গর ঠেকানো যায়নি বলে এলাকার মেম্বার মাহাবুল আলম প্রবীণ ব্যক্তিত্ব মো:সেকান্দর ও মো:শাহ আলম জানান। তারা ভাঙ্গন রোধের জন্য নদীতে বস্নক বাসানোর ও দাবি জানান। এলাকাবাসী বলেন বর্ষা মৌসুমে পাহাড়ী ঢল ও জোয়ার ভাটার তোড় বাঁক এলাকায় আচড়ে পড়ে ভাঙ্গন দিন দিন ভয়াভহ আকার ধারন করছে। প্রবীণ ব্যক্তিত্বরা জানান,বিগত ২০/২২ বছর পূর্বে ভাঙ্গন এলাকা থেকে নদী ১০/১২ কানি এলাকা দূরে ছিল। যথাসময়ে নদী শাসনের উদ্যোগ গ্রহন না করায় ভাঙ্গন ভয়াভহ আকার ধারণ করে মিন্নাত আলি সারাং এর বাড়ি এলাকার প্রায় ৩ কানি জমির সম পরিমান একটি পুকুর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙ্গন রোধের জন্য জরম্নরী ভিত্তিতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করা না হলে এলাকার বাড়ি ঘর স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়,মাদ্রাসা ও একমাত্র পূর্ব গড়দুয়ারা জামে মসজিদটি নদী গর্বে বিলীন হয়ে যাবে। এজন্য এলাকাবাসী সংশিস্নষ্ট দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষের আশু প্রয়োজনীয় হসত্মক্ষেপ কামনা করেছেন। যদি এব্যাপারে সত্তর কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করা না হয় তাহলে এলাকার বেশ কিছু দুঃস্থ অসহায় পরিবারের মাথা গোজার একমাত্র ঠাঁই বসত ভিটা হারিয়ে ছিন্নমুলে পরিণত হবে বলে এলাকাবাসী ভহক্তভোগীরা অভিমত প্রকাশ করেন।